আমার স্টিমিট বন্ধুরা
নতুন ব্লগে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমাতে, অনেক ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর অশেষ রহমাতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে ও আমি আপনাদের মাঝে একটি মোটিভেশন পোস্ট নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি, সবাই উপকৃত হবেন। তো সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, সবাই আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। এবং সুন্দর মতামতের মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
মহান রাব্বুল আলামিন, কুল মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। তার সৃষ্ট মাখলুকাতের মাঝে সকল সৃষ্টি দুই ভাগে বিভক্ত।একটি হলো " আশরাফ" বা অতি উওম, আর অন্যটি হলো "আতরাফ" বা অতি নিকৃষ্ট। সৃষ্টি জগতের মধ্যে কার ও চিরন্তন বিভাজন নানা দিক থেকে বিবেচ্য।দেহাবয়ব, খাদ্যমান রুচি, অবস্থান অবস্থিতি, প্রচেষ্টা ও অবদান কর্মতৎপরতা, আবিষ্কার, ভোগ বিলাস,চিওবিনোদন বিবেচনা করলে সামগ্রিক মূল্যায়নে,কেবল মানবজাতি "আশরাফুল মাখলুকাত"হওয়ার দাবিদার।
কেননা পৃথিবীর সকল মাখলুকের স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য মানব জাতির জীবনে পরিলক্ষিত হয়।যেমন পাখি আকাশে উড়ে, আর মানুষ পাখির মতোই বিমান আবিষ্কার করে তাতে উড়ে। মাছ পানিতে বাস করে,তার অনুরূপ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে, সমুদ্রে কিংবা নদীতে, নৌকা বা জাহাজ বানিয়ে পানিতে চলা চল করে।মানুষ "আশরাফুল মাখলুকাত" মানুষের স্বতন্ত্র এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্য কোন মাখলুকাতের কখনোই পাওয়া সম্ভব না।পৃথিবীতে মানুষ শিশু বা অসহায় দুর্বল মানুষ অসহায় "জন্মগ্রহণ" করে অপরের সহযোগিতা ছাড়া কখনোই চলতে পারে না।বিপরীতে অন্য সব প্রাণী জন্মের পর থেকেই সবল থাকে,অতি অল্প সময়ের মধ্যে বেড়ে উঠে, নিজের মতো করে চলতে পারে।জন্মকালীন দুর্বল মানুষ শিশুটি পরবর্তীতে সবার কাছে, যোগ্যতা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সকল মানবিক গুণে গুণান্বিত হয় সবার মাঝে"আশরাফুল মাখলুকাত" হিসাবে বিবেচিত হয়।
মানুষের সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সুনিয়ন্ত্রিত চমৎকার পদ্ধতি,মহান আল্লাহ সৃষ্টির সেরা সর্বোত্তম সৃষ্টি সেরা পদ্ধতি ও উন্নত প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করেন।এ প্রক্রিয়া কেবল তারই নিয়ন্ত্রণাধীন। "পবিএ💗কোরআনে" বলা হয়েছে, আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।অতঃপর আমি তাকে "শুক্রবিন্দু"" রূপে এক সংরক্ষিত আঁধারে"জরায়ুতে" স্থাপন করেছে।এরপর "শুক্রবিন্দু"জমাট রক্ত রূপের সৃষ্টি করেছি।অতঃপর জমাট রক্তকে গোশতপিন্ডে পরিণত করেছি।এরপর "গোশতপিন্ড" থেকে অস্থি তৈরি করেছি।অতপর অস্তিকে গোশত দ্বারা আবৃত করেছি।অবশেষে তাকে আমি নতুন রুপেকরেছি।
মানুষের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান,আপন মাতৃগর্ভে বীর্যের আকারে "৪০" দিন, জমাট বাঁধা রক্তে পরিনত হয়ে
" ৪০" দিন, গোসত আকারে" ৪০" " দিন।এর পর আল্লাহ তায়ালা একজন "ফেরেশতাকে ""পাঠান, এবং চারটি বিষয়ে আদেশ দেন যে, তার শিশুর,আমল,রিজিক, আয়ুষ্কাল, তার ভালো না মন্দ এসব সব কিছুই লিপিবদ্ধ করো।অতঃপর তার মধ্যে রুহ ফুঁকে দেওয়া হয়।
আল্লাহর হাতেই মানবের সৃষ্টি। পৃথিবীর সব মাখলুকাত আল্লাহর সৃষ্টি। তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলে,শুধু বলতেন "কুন" হয়ে যাও,আর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যেত।সকল সৃষ্টিকে তিনি "কুন" প্রয়োগে সৃষ্টি করেছেন। কেবল মানুষকে তিনি নিজ হাতে, বিশেষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহই মানবদেহে"রুহ" ফুঁকে দিয়েছেন। রুহ বা আত্মার সবকিছুই আল্লাহতালার নিয়ন্ত্রণাধীন।তিনি যে সকল প্রাণীকে প্রান সঞ্চারের দেওয়ার ইচ্ছে করছেন,তাদেরকে রুহ বা প্রান বলে।মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতির প্রথম মানব আদম আলাই সাল্লাম কে পৃথিবীতে অনুপম,বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সুনিপন,চমৎকার দেহাবয়বে সৃষ্টি করেছেন। "পবিত্র 💘কুরআনে"আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আমি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি অবয়বে।
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির মধ্যে, মানুষ, জিন"ফেরেশতা"এরাই হলো সৃষ্টির মধ্যে সৃষ্ট। তবে মানুষই "আশরাফুল মাখলুকাত" বা সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আমি অবশ্যই আদম সন্তানকে সম্মানিত করেছি।এবং তাদেরকে পানিতে ও স্থলে প্রতিষ্ঠা করেছি।তাদেরকে উত্তম জীবনপকরণ প্রদান করেছি।এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।মানুষের মধ্যে এমন কিছু গুণ আল্লাহ তায়ালা দান করেছেন, যা অন্য কোন সৃষ্টিকুলের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা দেননি।সুশ্রী চেহারা সুষম, দেহ, সুষম প্রকৃতি ইত্যাদি, একমাত্র মানুষকে দেওয়া হয়েছে। যা অন্য কোন জীবকে দেওয়া হয়নি।
তা ছাড়া বুদ্ধি ও চেতনায়, মানুষকে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য দান করা হয়েছে।তাকে বিভিন্ন সৃষ্ট বস্তুর সংমিশ্রণে বিভিন্ন শিল্পদ্রব্য প্রস্তুত করার শক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকশক্তি, শ্রবণশক্তি, ও পরস্পরের মতবিনিময়ের যে নৈপুণ্য লাভ করেছে তা অন্য কোন প্রানির মধ্যে নেই।
ইঙ্গিতে মনের কথা অন্যকে বোঝানো,লেখা ও চিঠির মাধ্যমে গোপন ভেদ,অন্য পর্যন্ত পৌঁছানো,এসব মানুষের স্বাতন্ত্র্য।সকল প্রাণীই একেক বস্তু আহার করে, কেউ মাছ কেউবা ফলমূল,কেউ বা গোসত আহার করে থাকে।এক মাএ মানুষই "সংমিশ্রণে" বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে ভক্ষন করে।বিবেক-বুদ্ধি চেতনার সর্বপ্রধান মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব।এর ফলে সে স্বীয় "সৃষ্টিকর্তা" ও প্রভুর পরিচয় এবং তার পছন্দ ও অপছন্দ জেনে, পছন্দের বিষয় গ্রহন করে।এবং অপছন্দের বিষয় গুলো বর্জন করে।
পৃথিবীর সব কিছুই মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়েছে।আল্লাহ তায়ালা এই ধরার সবকিছুই মানুষের "কল্যাণের" জন্য সৃষ্টি করেছেন।তিনি এরশাদ করেন, তিনি সেই সত্তা, যিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য,"মানবের" কল্যাণার্থে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।নর্ক্ষএ আলো-বাতাস জীবজন্তু,সবই মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছে।তাই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য অনেক অনেক নেয়ামত ধান করেছেন। তার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা কোন দিন ও সম্ভব না। আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির মধ্যে আমরাই হলাম সৃষ্ট জীব।তাই "আল্লাহ তায়ালা"আমাদেরকে "ভালোবেসে" অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন। আর জন্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা "আশরাফুল মাখলুকাত" হিসাবে বিবেচিত করেছেন।
🥀সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ🥀
আল্লাহ হাফেজ
🌹💛🧡❤️❣️💜❣️🧡💙💚💗🤎❣️❤️💙🌷
মানব জাতি সকল সৃষ্টির সেরা জাতি টাইটেল খুব সুন্দর হয়েছে এবং বুঝতে পেরেছি আজকে পোস্ট অসাধারণ ছিল। পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের লেখা পোস্ট আমার খুবই পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে শুনে আমার ও অনেক ভালো লাগলো।এভাবেই পাশে থাকবেন।
আসলেই মানবজাতি হলো সৃষ্টির সেরা। কিন্তু তাদের কাজকর্মে আসলে সেগুলো বোঝা যায় না। তাদের কাজকর্ম সবচেয়ে নিচের হয়ে থাকে। আপনার লেখাটায় আজকে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।