হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আশা করি সবাই ভাল আছেন তো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার এই ঈদে বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন
https://w3w.co/mixture.caravan.spud
.jpeg)
প্রতি বারেই ঈদ এ বাড়ি ফিরতে মন চায়। আপন মানুষদের সাথে ঈদ না করতে পারলে কেন জানি ঈদের মজাটাই মাটি হয়ে যায়। গ্রামের যে আপন মানুষদের সাথে ঈদ করতে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগে। বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে যে একটা উৎসব কাজ করে সেটা অনেক ভালো লাগে। এই ধরুন একগাদা ভিড় ঠেলে জ্যাম পার হয়ে গাদাগাদি করে গ্রামে যেতে পারার মজাই আলাদা। এবার অবশ্য আমার ঈদে গ্রামে আসার প্ল্যান তেমন একটা ছিল না। তবে আমার নানু আমাকে খুব করে বলে যে নানাভাই তাড়াতাড়ি গ্রামে আয়। তাই ভাবলাম নানু যেহেতু বলেছে তাহলে চলে যাই এই ভেবেই চলে আসার প্ল্যান করা। আমার আব্বু কিছুদিন আগে গ্রামে চলে আসছিল। ঢাকায় ছিলাম শুধু আমি আমার ছোট ভাই আর আমার আম্মু। যখন আসার সিদ্ধান্ত নিলাম তো আমার ছোট ভাই বলল যে ও আসবে না। একটু ঝামেলা হয়ে গেল তারপর আর কি করা ওকে ছাড়াই আসতে হলো। মানে যাওয়ার প্ল্যান করলাম আরকি। প্ল্যান মতাবেক আজকে বের হওয়ার কথা ছিল সেহরি খেয়ে আমরা আর ঘুমাবো না নামাজ পড়ে বের হয়ে যাব।
https://w3w.co/prom.skipped.ecologist
তোর কথা অনুযায়ী আমরা সেহরি খাই আর ঘুমাই নি আমি নামাজ পড়ে রেডি হয়ে নিলাম তারপর ব্যাগ গুছিয়ে একবারে বের হয়ে গেলাম। সামনে রিকশা পেলাম না। একটু এগোতে তারপর রিক্সা পেলাম, রিকশা নিয়ে চলে গেলাম বাসস্ট্যান্ডে। ভাবলাম যে যেহেতু অন্ধকার আছে এখনো কোনো ভিড় হবে না। কিন্তু যাওয়ার পরে আমি পুরা টোটালি অবাক এত মানুষ। অনেক মানুষ ছিল সেখানে। চার পাঁচটা বাস ছিলো তবে আমাদের সদরঘাট যাওয়ার বাস পাচ্ছিলাম না। রিকশাভাড়া মিটিয়ে আমি আর আম্মু সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম দেখলাম সেখানে অনেক বাস থাকলেও আমাদের যাওয়ার বাস ছিলোনা। একটু অবাকই হলাম কারন আমরা খুব ভোরে রওনা দিয়েছি। আপনি চিন্তা করে দেখেন আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম ভোর ৪ টা ৪৫ এ। রাস্তায় প্রচুর ভিড় ছিল।
আমার সামনে এগিয়ে যেতেই দেখি সেখানে যে বাসগুলো ছিল সেগুলো মাওয়া ঘাটের। দূর থেকে আমি ভেবেছিলাম সেগুলো সদরঘাটের কারণ ওনারা এমনভাবে ডাকতেছিল মানে বোঝার উপায় নেই। যদি উঠে যেতাম তাহলে তো অবস্থা খারাপ ছিল, তো যাই হোক অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিন্তু বাস আসলো না। আর যে বাসগুলো আসছিল সেগুলো গেট বন্ধ হয়ে আসছিল, অর্থাৎ দূর থেকে ভরে ভরে আসছিল। আর কি আমি মনে মনে ভাবতে ছিলাম যে তাহলে এত আগে বের হয়ে লাভ হল কি সেতো বাস পাচ্ছিনা। বেশি অবাক হলাম যে এক রুটের বাস অন্যর উঠে যাচ্ছিল দেখতে দেখতে হঠাৎ একটি বাস আসলো তো আমরা জিজ্ঞেস করলাম যে কোথায় যাবে বলল যে গুলিস্তান যাবে আমি আরাম অর্থিক করলাম যে গুলিস্তান হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাব আর কি কিন্তু ব্যাটা ভাড়া চাইলো ১০০ টাকা করে যেখানে গুলিস্তানের সাধারণ ভারাই হচ্ছে ৩০ টাকা। ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা কিন্তু তারা ১০০ টাকা চাচ্ছিল তাই আর উঠলাম না।
উপরের ছবিগুলো তো ভালো মতো দেখতে পাচ্ছেন যে আমরা যখন প্রথমে দাঁড়িয়েছিলাম মানে যখন প্রথম বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলাম তখন কি রকমের অন্ধকার ছিল আর অপেক্ষা করতে করতে দেখুন দিনের আলো ফুটে গিয়েছে। তারপর আমি আর আমি মিলে ডিসিশন নিলাম ভালো এখন যতই বলুক আমাদের যেতে হবে। না হলে দেরি হয়ে যাবে। লঞ্চ মিস করে ফেলব। হঠাৎ দেখলাম এটা ৬ নম্বর বাস আসলো। আমাদেরকে ৮০ টাকা করে বলল গুলিস্তান পর্যন্ত। আমি আর আম্মু কথা না বলে উঠে গেলাম। বাসে উঠে সিট পেয়ে গেলাম তাই জন্য ভালো লাগলো। দাঁড়াতে হয় নি। আর মজার বিষয় হচ্ছে ৬ নম্বর এই রুট এর ছিলোনা অন্য রুটের ছিল কিন্তু এখান থেকে ভাড়া মারতে ছিল। বাসে একটু ঝামেলা হল কারণ আমাদেরকে ৮০ টাকা করে বলে উঠালো তারা ভাড়া ১০০ টাকা করে দাবি করছিল। কিন্তু আমিতো মানবার পাত্র নই। আমি চিল্লামিল্লি শুরু করে দিলাম তারপর আমি ৮০ টাকা করে দিয়েছি। আমি আর আমার একসাথে ১৬০ টাকা দিয়েছিলাম।
https://w3w.co/haystack.initiated.cashier
ভোরবেলা হতে রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল একটানে আমরা গুলিস্তান চলে আসি। তবে বাস ড্রাইভার খুব মারাত্মকভাবে বাস চালাচ্ছিল এতে আমরা অনেকে রেগে যাই তখন আস্তে আস্তে বাস চালায়। গুলিস্তান নেমে আমাদের যেতে হবে সদরঘাট তো আমি আর আম্মু নেমে হেঁটে একটু সামনের দিকে এগিয়ে সদরঘাটের একটি বাসে উঠে পরি। তারপর আমরা সদরঘাটের কাছাকাছি ভিক্টোরিয়া পার্কের এখানে পৌঁছে যায় তো সেখান থেকে আমরা হেঁটে হেঁটে সদরঘাট পৌঁছে যাই।
আজকের পোস্টটি এটুকুতেই রাখছি বেশি বড় করতে চাচ্ছিনা বাকিটুক ছিল লঞ্চ জার্নি সেটা আপনাদের পরবর্তী পোস্টটি শেয়ার করে জানাব ধন্যবাদ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

ঠিক বলেছেন কোথাও যাওয়ার আগে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে। সত্যি তাই তো দেখলাম ছবিতে এত ভোরবেলা এত লোক। তবে সঠিকভাবে সদরঘাট পৌঁছতে পেরেছেন এটা ঈশ্বরের কৃপা। যাইহোক ভালোমতো পৌঁছান নির্দিষ্ট স্থানে এই প্রার্থনা করছি পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আমিও খুব অবাক হই কারণ ভোরবেলা এত লোক থাকার কথা না। আর এই জন্যই আমরা বের হয়েছিলাম ভোর বেলার দিকে কিন্তু বের হয়ে তো অবাক।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আপন মানুষদের সাথে ঈদ না করতে পারলে কেন জানি ঈদের মজাটাই মাটি হয়ে যায়। আপন জনদের সাথে ঈদ না করতে পারলে ঈদে কোন মজাই হয়না যেন। আপনি বাড়ি যাচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপন মানুষদের সাথে ঈদ করলে একটা আলাদা মজা লাগে
আপনার সাথে আমি একদম একমত ভাই। আপন মানুষ পাশে না থাকলে ঈদ কি ঈদ হয়। হবে আশা করি সুস্থ ভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন। বাড়ির দিনগুলো আপনার সুস্থতা কামনা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক ভাই আপন মানুষ না থাকলে ঈদ টাই মাটি হয়ে যায় বাড়ির সবার সাথে ঈদ করতে পারলে খুব ভালো লাগে
দোয়া করি যেন সহিসালামতে বাড়িতে ফিরে আসতে পারেন ভাই। হয়তো আপনার মুখপানে চেয়ে আছেন আপনার পরিবারে আত্মীয়-স্বজন। তা সৃষ্টি করতে যেন আপনার প্রতিটা সময় ভালো রেখে বাড়িতে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
যথার্থ বলেছেন ভাই খুব ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে।